সন্তান বিক্রি করে মোবাইল-অলংকার কিনলেন মা
আপলোড সময় :
১৮-০৪-২০২৫ ০২:৫৩:৩২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৮-০৪-২০২৫ ০২:৫৩:৩২ অপরাহ্ন
চার মাসের শিশু সন্তানকে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করলেন গর্ভধারিণী মা। সন্তান বিক্রির সেই টাকা দিয়ে নাকের নথ, পায়ের নুপুর, মোবাইল ফোন ও জুতা মা কিনেছেন। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরশহরের পুন্ডুরা সেওড়াতলা এলাকায়।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় স্বামী থানা-পুলিশকে ঘটনা জানালে শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য সারারাত অভিযান চালিয়ে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
খুলনায় সমন্বয় পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় ৪ যুবক আটকখুলনায় সমন্বয় পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় ৪ যুবক আটক
শিশুটির পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পুন্ডুরা শেওড়াতলা এলাকার আজম আলীর ছেলে রবিউল ইসলামের সঙ্গে গোপালপুরের বলাটা গ্রামের লিটন মিয়ার মেয়ে লাবনী আক্তার লিজার দুই বছর আগে বিয়ে হয়। ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের এ বিয়ে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই রবিউলের অসচ্ছলতার কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে রবিউল সংসারে শান্তির প্রয়োজনে বাড়ির পাশেই ঘরভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। গত চার মাস আগে তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় কোলের সন্তানকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন স্ত্রী।
স্বামী রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের ছেলে তামিমের জন্মের পর থেকে সংসারে অশান্তি নেমে আসে। অল্প কয়েক দিন আগে লাবনী আমার ছেলে তামিমকে নিয়ে লাবনীর বোনের বাড়ি ভূঞাপুরে যায়। কয়েক দিন পর বাড়ি আসতে বললে লাবনী দুর্ব্যবহার করে। আমার সঙ্গে ঘর সংসার করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। আমি কয়েক দিন পর আবার ফোন করে বলি তামিমের দাদা অসুস্থ। ছেলেকে নিয়ে আসো। তিনি তামিমকে দেখতে চাচ্ছে। লাবনী তাতেও ফিরে আসেনি।
তিনি আরও বলেন, অনেক যোগাযোগের পর বৃহস্পতিবার লাবনী সন্তান বিক্রি করেছে বলে খবর দেয়। পরে কৌশলে লাবনীকে ভূঞাপুর থেকে পাকুটিয়ায় ডেকে এনে ধরে বাড়ি নিয়ে আসি। এ সময় সে শিশু তামিমকে বিক্রি করার কথা স্বীকার করে। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়।
চুয়াডাঙ্গায় চেকপোস্ট ব্যারাক থেকে পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধারচুয়াডাঙ্গায় চেকপোস্ট ব্যারাক থেকে পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার
শিশু তামিমের মা লাবনী আক্তার লিজা বলেন, আমার মাথা ঠিক ছিল না। আমি মনির নামের একজনের সহযোগিতায় ১০ এপ্রিল সিরাজগঞ্জের এক লোকের কাছে ৪০ হাজার টাকায় তামিমকে বিক্রি করেছি। ওই টাকা দিয়ে মোবাইল, পায়ের নুপুর ও নাকের নথ কিনেছি। এইটা আমার ভুল হইছে।
এ ব্যাপারে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল কবীর বলেন, লাবনী নামের এক মা তার চার মাসের ছেলেকে বিক্রি করেছে বলে আমাদের জানিয়েছে। পরে ওসি তদন্ত রাসেল আহমেদের নেতৃত্বে মধুপুর থানা পুলিশের একটি টিম ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin
কমেন্ট বক্স